তোমরা যারা ক্রাশ ট্রাশ বলো,
আমাদের সময়ে এই শব্দের প্রচলন ছিলো না। আমরা বলতাম ভালো লাগার অভিনেত্রী বা প্রিয় অভিনেত্রী।
২০০১ সালে Lara Croft:Tomb Rider মুভিতে তার সাথে পরিচয়।
তখনকার ডিভিডি বা সিলভার ডিস্ক কিনে মুভি দেখতে হতো। Tnt এর নেট বেশ স্লো ছিলো। সিটিসেল জুম আল্ট্রা নামে একটা মোডেম এনেছিলো, পাশাপাশি কিউবি, বাংলালায়ন মোডেম প্রচলিত হয়। সেটা দিয়ে টোরেন্ট সাইট থেকে মুভি নামানো যেতো। কিন্তু এদের নেটের খুব উচু মূল্য ছিলো। ১জিবি ৩০০-৫০০/- টাকা। তাই ডিভিডি ছিলো ছাত্র জীবনের মুভি দেখার মূল ভরসা।
তো যা বলছিলাম, লারা ক্রফটে জোলিকে দেখে প্রথমে ভালো লাগলো না। মেয়ে মানুষ হইয়া ব্যাটা মানুষের মতো ফাইট, ক্লাস নাইনে পড়া ব্রেনে নিতে পারলো না।
ইন্টারে পড়া অবস্থায় ২০০৩ এ দেখলাম Original Sin, সেটাও ঠিক মতো গেলো না।
২০০৫ এ দেখলাম Mr & Mrs Smith, আহা! কি মধু! ব্রাড পিটের সাথে ম্যাডামের কেমিস্ট জমে গেলো। এবারের ফাইট টা মনের মতোই লাগলো। আর ব্যাটা ব্যাটা ফাইট লাগলো না। জোলি ম্যাডামের সাথে ভালো লাগাটা সেই লেভেলে গেলো।
২০০৮ এ Wanted,
২০১০ এ Salt,
ও জনি ডেপের সাথে The Tourist, প্রিয় অভিনেতার সাথে প্রিয় অভিনেত্রীর একই ছবিতে অভিনয় দেখতে পাওয়ার অপেক্ষা পূর্ণতা পেল।
মাঝে Kung Fu Panda এনিমেশন মুভিতে তার অসাধারণ ভয়েস প্রদানের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ তে যুক্ত হলো Maleficent.
আহা, প্রিয় অভিনেত্রী,
Angelina Jolie,
৪৫ বছর হয়ে গেলো,
ভাবা যায়???
শুভ জন্মদিন।