টাকার পুকুরে কুমির মাছের গল্প

  • Post author:

পেছনের এক পা নেই, তিন পায়ের এক কুকুর দেখলাম। খুজে খুজে খাদ্য যোগার করে বাচার চেষ্টায় আছে।

মানুষের মত দেখতে দু পায়ে চলা কুকুর, খাবার ছিনিয়ে খায়, শক্তির নাম দিয়ে। বুক ফুলিয়ে দম্ভ করে হাটে। চাটুকারিতার পসরা বসায় শক্তির মসনদে। স্বভাব যায় না মরলে। শুধু মাত্র বিপদে পড়লে, মুখোশের ভালো মানুষ সাজে। বিপদ কেটে গেলে ভুলে যায়, কি ঘটেছিলো। এদের মিষ্টতার ছল আর সময়ের বল দুটোই ক্ষতিকর। এদের নিজের বুঝ ১৬ আনা, অন্যের বেলায় এক আনা কসরত নেই। যে কোনো আয়োজনে এরা ত্রুটি খুজে ভাব বাড়ায়। নিজেদের আয়োজনে শতভাগ তুষ্টি চায়। অনেক আগে এক সাধু বলেছিলো, নিজের অন্যায় করে কার্য্য সমাধা হয়ে যাবার পড়ে, ঘাপটি মেরে থাকো, সমাজে তোমার আরাধন হবে, অনুসারী বাড়তে থাকবে।

মানুষের কাছে কি পরিমান টাকা থাকলে, সে নগদ কোটি টাকা সাথে রাখে? আমার কাছে অংকটা জানা নেই। কারো কাছে জানা থাকলে জানাবেন। তার আয়ের উৎস কি? ঠিকাদারি? কোন যোগ্যতায় তিনি ঠিকাদারী পেতেন? নাকি কোন ক্ষমতায় হবে শব্দটা। আমি জানিনা। অবশেষ তিনি আইনের হেফাজতে। কি শাস্তি হবে? নাকি শাস্তি পেরিয়ে বেড়িয়ে আসবেন তিনি? তার পরিচয় এখন তিনি নাকি প্রাক্তন যুবদলের নেতা ছিলেন, যদিও এখন তার নামের সাথে যুবলীগ। এমন কত হাইব্রীড এসে ক্ষমতার মজা নিচ্ছে, তার হিসেব আছে?

চলে এসেছে ক্যাসিনো ফ্লেভার। তিনিও বহিষ্কৃত শীর্ষ নেতা। তারা ক্লাব গুলোতে ক্যাসিনো চালাচ্ছিলেন। কাদের সাহেব বলেছেন, ঢাকাকে বিএনপি ক্যাসিনো শহর বানিয়েছে। তাহলে তারা ১০বছর মসনদে কি ঘাস কেটেছেন? দেশের ক্লাব গুলোতে এই চর্চায় আমাদের ক্রীয়া কোন তলানীতে গেছে, একটু খোজ নিলেই বুঝা যাবে।

একজন আমদানী কারক, সকল পেপার ওয়ার্কস করে, আমদানী করে। তারপরে শুল্ক কর্মকর্তা, সিএনএফ, রাস্তার চাদাবাজী আর নানা খেসারত দিয়ে পণ্য গুদামে নেয়। সেই পণ্য বিক্রিতে ভ্যাট, ট্যাক্স, পদে পদে পুলিশ, ভ্যাটের রাস্তার চেকিং পোষ্টের চাদাবাজী পেরিয়ে তাকে ব্যবসা করতে হয়। জানতে ইচ্ছে হয়, এই ক্যাসিনোর সরঞ্জামাদি কোন চালানে আমদানী হলো, সিএনএফ, রাস্তার চেকিং ধরা পড়লো না কেন?

৫/৬% মাত্র অংশীদারি চেয়ে দলচুত ও ক্ষমতা চূত হলেন ছাত্রলীগ এর শোভন-রব্বানী। কিভাবে তাদের এত সাহস এলো? তারা কি নামে, কি নীতিতে করে জানেন? নীতির নাম, ক্ষমতার মোড়কে ধান্দাবাজী, চাঁদাবাজি, এলাকার দখল, ঠিকাদারি।

এভাবেই এগিয়ে চলছে দুর্বিত্তায়ন।
এমপি, তার পুত্র, ভাগ্নে, ভাই, বা অংগসংঘটনের নামের পিছে লীগ লাগিয়ে, লুটতরাজের বাণিজ্য। এই সব কীটেরা ভাবে, কেউ তো কিছু বলবে না।

বিষন্নতার আল্পনা একে এই নগরে তরুনেরা রাজনীতির সস্তা প্রেমে মত্ত। ১৭/১৮ বছরেই ধোয়া, নেশা আর শক্তি প্রদর্শন। দেখার কেউ নেই। সেই ছেলেদের বাবা-মা বা সরকার।

সরকার বাধা দিবে কেনো? তার পেশী শক্তি দরকার। খুচরা মূল্যে এই কিশোর, তরুন আর যুবারা নেমে গেছে রাস্তায়।

কোন এক রাতের আধার কেটে এরা কি ফিরে আসবে? আসলে ভালো। নইলে এদেরই স্থান হবে রাস্তার পাশের আবর্জনা স্তুপে। প্রলাপের মত এই কথা গুলা বলার বা শোনার লোক খুব অভাব। থেমে যায় চেতনা। মানবিক মূল্যবোধ এর চিতা পোড়ার গন্ধে বাতাস ভারী, খুব ভারী।

This Post Has One Comment

  1. Samiul Esti

    ক্যাসিনো নাকি জুয়া খেলাঘর, কেউ তো শোনেনি আগে
    জুয়াড়িরা সেই গর্তে ঢুকিয়া, ঘুমিয়া ঘুমিয়া জাগে
    চাবুক ধরিয়া চাঁদা তোলে যারা, তারা চলে বুকফুলে।

Leave a Reply to Samiul Esti Cancel reply