তক্ষকের গল্প:

  • Post author:

লোনা চোখে তোমাদের হাটি হাটি পায়ে,
ভারসাম্য সামাল দেয়া মানুষ আমি।
নির্ভেজাল দিনের শেষে,
প্রতিদিনের ফাঁকির হিসাব,
মিলিয়ে দিয়েছি তোমাদের ষোলো আনা।
বদলে দু আনার সততা দিতে কার্পণ্য করেছো বেশ।
পিপাসা মেটাবার জলের দাম দাওনি একটুকুও।
পেটে সুখের ভাজ জমার পরে,
তোমাদের চিনেছে নর্তকশ্রেষ্ঠ বিক্রেতারা।
বিক্রি হয়ে গেছো তুমি, তোমরা।
তারপর অজস্র বার নিজেকে দাঁড়াবার তাগিদে,
আমার সেই হাতে ধরা দিনের গল্প বিকিয়ে দিয়েছো।
প্রশ্রয় দেয়ার দিন গুলোতে,
পা চেটে জী হুজুর বলেছো, যা চাইনি।
আজও তুমি, তোমরা পা চাটা তক্ষত।
তবে জানো, এই হাত, ফসকে দেয়নি কাউকে।
আট শ দিনের হিসেবে তোমার মত গোটা চল্লিশ মানুষকে ডেকেছিলাম।
আফসোস, মানুষের ভীড়ে কিছু তক্ষক ছিলো, আছেও।
তবু আজো নিজেকে বিক্রি করেনি অনেকেই।
অল্প বিস্তর সুবচন চেয়েছি,
যা তোমার আতুরাশ্রমে, তোমাকে দিতে পারেনি কেউ।
নর্তক হয়ে ভালো থাকতে পারলে,
আমার এই প্রাণের প্রলাপ
তোমাকে আচড় কাটবে না বেশ জানি।

Leave a Reply