আল্লাহ তায়ালা কত নেয়ামত দিয়ে আমাদের পূর্ণ করে রেখেছেন, চারপাশে তাকালেই বুঝবেন। আমরা টের পাই না। তাই নানা অপূর্ণতায় হা-হুতাশ করি। ভাবনা আসে যে শুধু আমি কষ্টে আছি। আমরা ডুবে আছি আমিত্বে।
আমি কি খাই, অমুক ভালো খাচ্ছে, ফেইসবুক এ ছবি দিচ্ছে।
কি পরি, অমুকে মার্কেট কইরা ফাটায়া ফেলছে, আর আমার জামা কাপড় নাই।
কোথায় থাকি, অমুকের বাসা-ফ্লাট হ্যান ত্যান আছে, আমার নাই।
কি আছে, অমুকে গাড়িতে চড়ে, বাইকে চড়ে, সাজেক যায়, ব্লু ফায়ার পার্টি করে।
আর আমাদের শুধু নাই আর নাই।
নিজের সুখ খোজার অসুখে পড়েছি আমরা। বেমুলুম ভুলে যাচ্ছি, আমার পাশের মানুষের জরুরত। আমাদের শুধু আমার জন্য দরকারী চোখে পড়ে।
অল্পতেই আমরা হেরে যাই।
আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ভোর থেকে হাল চাষ, গবাদী পশু পালন, গাছ কাটা, মাছ ধরার মতো পরিশ্রমের কাজ করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতো, সম্ভ্রান্ত ও সচ্ছল গৃহস্তের মতো জীবন কাটাতো।
আমাদের পূর্ব নারীরা ভোর থেকে তার স্বামীর নাস্তা, গরু দোয়ানো, গোবর পরিস্কার করা, হাস-মুরগী পালন, বাচ্চা লালন পালন করে বিকেল বেলা উঠান জুড়ে ৮/১০টা বাচ্চার হাট বসাতো।
এখন আমরা কর্পোরেট কামলা।
দিনভর খেটে স্ট্রেস নামক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় ফিরি। গৃহিনী তখন সারাদিনের ইন্ডাকশন চুলায় রেধে, ওভেনে গরম করে, ওয়াশিং এ কাপড় ধয়ে, জুশারে জুশ বানিয়ে ১/২ বাচ্চা নিয়ে ক্লান্তিতে রিমোট টেপে। সিজার নামক মহিয়সী সুর তাকে দুই এর অধিক বাচ্চায় ও সংসারের জাতাকলে আটকে দিয়েছে শিড়দাড়ার ব্যাথা, ব্যাক পেইন সহ নানাবিধ জটিলতায়।
জীবন থেমে থাকে না।
বাস্তবতায় আমরা এখন আমিকে নিয়ে একা হয়ে গেছি।
আসুন,
ভাবনা বদলাই।
চারপাশের মানুষদের নিয়ে বাচি।
আল্লাহর যে নেয়ামত পরিবেষ্টিত হয়ে বেচে আছি, তার শোকর গুজার করি। যে কোনো মুসিবতে স্রষ্টার মুখাপেক্ষী হই। আল্লাহর হেদায়েত ও রহমত কবুল হতে এক সেকেন্ডই যথেষ্ট।