গত রাতে ২টার দিকে চোখ লেগেছিলো, কিছু পরেই ঘুম ভেংগে যায়। এই সেই করে ৫টায় ঘুম না আসায়, একটু হাটাহাটি করে ব্যালকনির ফটকে উকি দিয়ে দেখি গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। বুঝলাম, সকালে আজ শীত ঝেকে নামবে। নির্বাচনী আমেজে, ঘুমাইতে গেলাম কম্বলে।
সকাল বেলায় মন মাতানো মাইকের সুরে ঘুম ভাঙলো। আহা। কি সেই সুর। হামদ-নাথ, ভাটিয়ালি, জারি, সিনেমাটিক, আধুনিক, হিন্দী, বস্তি কোনো গানই বাদ যায়নি। জাতীয় শিল্পী মমতাজ। আরেক ব্যাটা ব্যাটি আছে, সকলের স্লোগান-ভাষ্য সেই একই কন্ঠ শুনি। তাদের এখন আত্মীয় স্বজন মনে হয়। আর যে সব কমন কবিতা তারা সকলের জন্য দিচ্ছে, আহা। হে আল্লাহ দয়াময়, অমুক তমুকের হবে জয়। এখন এক পদে কয়জনের জয় এক সাথে হবে, আল্লাহই জানে। আর গাছের পাতা, নয়ন মণি, উন্নয়নের জন্য, জনগন জানের তো শেষ নাই।
যাই হোক, আবার ব্যালকনির ফটকে উকি দিলাম, নাহ কিছুই দেখা যায় না। ব্যালকনির বাইরের আকাশ মেঘময় নাকি আলোময় তা বুঝার আগেই, পোষ্টার ময়। রশি ও পোষ্টারে বাংলার আকাশ আজ সজ্জিত। আচ্ছা, যে ভোটে জিতবে, সে ছাড়া কি অন্যদের পোষ্টার নামিয়ে ফেলবে? কে নামাবে, নতুন নগরপিতা? নাকি পরাজিতরা বলবে, নতুন ক্ষমতায় এসে Power দেখালো পোষ্টার নামিয়ে? নাকি যার যার পোষ্টার সে নামাবে? জানিনা।
সকাল বেলা মাথায় বেশি আবোল তাবোল ভাবনা আসা, দিনের জন্য ক্ষতিকর। তারচে দাত মেঝে, বেরুবার প্রস্তুতি নেই।
রেডি হয়েই খাবার টেবিলে নাস্তার প্রশার দেখে তো চোখ ছানা বড়া, সরি ছানা-বড়া হবে না, খিচুরি ভর্তা হবে।
আহা! ধোয়া তোলা গরমা গরম লোকাল ভাষায় খুদের বউয়া, ভদ্র ভাষায় চাল ভাংগা খিচুরি। সেই ঘ্রাণ, সেই গরম। উপরে ভাজা শুকনা মরিচ, পেয়াজ মাংশ ভর্রা, ডিম ভাজা আর চকচকে বেগুন ভাজা। গোল বেগুন, চাকতি চাকতি করে হলুদ মরিচ মাখিয়ে, লাকড়ি চুলোয় তেলে ভাজা ভাজা। জীবন আনন্দময়।
আসুন বেগুন ভাজা-খিচুরী খাই।
নির্বাচনী গান গাই।
সকলের মুখস্ত হইছে কিনা?
ঠিক কিনা বলেন।
বি:দ্র:
ইহা একটি কল্পনা প্রসুত মস্তিস্কের আলু সিদ্ধ ভাবনা। এখনো নাস্তা খাইনি, আর আমি এলার্জি জনিত কষ্টে বেগুন ভাজা খাই না।