৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বাহরাইনের শিয়া রাজা কারমাতিয়ান ৮ই জিলহজ কাবা শরীফ আক্রমন করে। গিলাফ পুড়িয়ে দেয়। কুড়াল দিয়ে ভেঙে হাজরে আসওয়াদ নিয়ে যায় হফুফের জাওয়াথা মসজিদে। ত্রিশ হাজার হাজিকে হত্যা করে সে। লাশ ফেলে জমজম বন্ধ করে দেয়। কাবার ঘরের উপরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে, কই আবাবিল, কোথায় তোরা? পারলে মার আমাকে পাথর দিয়ে।
সেই সময় দশ বছর হজ্জ্ব বন্ধ ছিল। হজ্জ্ব চালু হলেও হাজরে আসওয়াদ ফিরেছিল প্রায় ২৬ বছর পরে। কারমাতিয়ান রাজার মৃত্যু হয়েছিল মাংস খসে খসে পঁচে যেভাবে আবাবিলের বা পাখির ঝাকের পাথরে আব্রাহার সেনাদের মৃত্যু হয়েছিলো।
আবাবিল কোন পাখি নয়, আরবীতে পাখির ঝাঁককে আবাবিল বলে।
৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় মহামারী দেখা দিলে হজ্জ্ব বন্ধ ছিলো সেবার।
এই ভাবে যুদ্ধ বিষয়ক কারণে প্রায় চল্লিশ বার হজ্জ্ব হয়নি। কোন সময় কিছু দেশের মানুষ আসতে পারেনি, কোন সময় পুরো পৃথিবীর কেউ আসতে পারেনি।
যে আল্লাহ হজ্জ্ব ফরজ করেছেন তাঁর ইচ্ছেতেই এগুলি হয়েছে। আরব নিউজে প্রকাশিত এই চিত্রে কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
এবছর যদি মহামারী জনিত কারণে সৌদি সরকার হজ্জ্ব বাতিল করে,সেটির জন্যে অশনি সংকেত ভাবার কোন কারণ নেই।
রোজা না রাখার যেমন শর্ত আছে, হজ্জ্ব না করারও শর্ত আছে। এবার আল্লাহ যদি চান হজ্জ্ব হবেনা, নিয়ত করে রাখি হজ্জ্ব করার। মৃত্যু হলে হজ্জ্ব করার ফরজ আল্লাহ মাফ করে সওয়াব দিয়ে দিবেন।
আল্লাহর দেয়ার জন্যে কোন বাজেট লাগেনা। তিনি চাইলেই দিয়ে দেন। তিনি শুধু দেখেন বান্দার অন্তঃকরণ। তাই হজ্জের সফর না করেও আল্লাহ আপনাকে হজ্জের ফায়দা দিয়ে দিতে পারেন।
আমরা এই ক্রান্তিলগ্নে শুধু আল্লাহর দেখানো পথে চলি।
লেখক: আরিফুর রহমান
Hi, just wanted to mention, I loved this article. It was inspiring.
Keep on posting!
Thanks