চেষ্টা করি খবর গুলো এড়িয়ে যাবার।
এই সমস্যা অন্য ভূখন্ডের, যে দেশ পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। সেদেশে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ও তার প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তে, সমর্থনে, মদদে চলছে এই নৈরাজ্য। নতুন আইনের স্পষ্ট ব্যাখ্যা মুসলিম ছাড়া সকল ধর্মের অবস্থান থাকবে, বিতারিত হবে মুসলমান। আর এই মতকে প্রাধান্য দিয়ে মুসলিম নিধনে নেমেছে হিন্দু ধর্ম রক্ষকেরা।
এভাবেই মায়ানমারে নিধন চলেছিলো।
মায়ের চেয়ে মাসীর প্রেম বেশী জাগাতে,
১৫ লক্ষ রহিংগা আশ্রয় দিয়ে গর্বে গর্ভবতী এই দেশ।
টাইম লাইন স্ক্রলে তবুও ভেসে উঠে বিভৎস সব ছবি, ভিডিও বা খবর। এক মানুষকে মুসলিম হবার অপরাধে আরেক মানুষ হিন্দুত্ববাধ রক্ষায় এলোপাথাড়ি পেটায়, বুকের খাচায় লাফায়। মসজিদ থেকে বেড়ুবার পথে পেটায় পুলিশ। কারো কারো মুখ ঢেকে পেটায়, তবু ধর্ম রক্ষা হোক।
কবি নজরুল লিখেছিলেন, মন্দির রক্ষায় দেবীরা নেমে আসে নাই, মসজিদ রক্ষায় পয়গম্বর নেমে আসে নাই।
এখন দেখা যায়,
এই ভূখন্ডে মুসলিম নেমে এসে মন্দির ভাংগে, মূর্তি ভাংগে, হিন্দুকে সংখ্যা লঘু আখ্যা দিয়ে, চাড়াল বলে নিগৃহিত করে,
অন্য ভূখন্ডে হিন্দু নেমে এসে মসজিদ পোড়ায়, মিনারে হনুমানের পতাকা উড়ায় আর মালাউনের বাচ্চা বলে পেটায়।
ধর্ম রক্ষায় এরা মানুষ হত্যার অধর্ম করে।
আড়ালে হাসেন আমাদের আল্লাহ, তাদের ভগবান, অন্যের ঈশ্বর। এই ছোট্ট পৃথিবীর ক্ষুদ্র মানুষ নাকি ধর্ম রক্ষা করবে।
আমাদের পবিত্র গ্রন্থে লিখা আছে,
লাকুম দ্বীনুকুম অল ইয়া দ্বীন,
অর্থ, তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে।
হায়, আফসোস,
এই কথা মন্দির ভাংগা মুসলিম ভুলে যায়।
আফসোস গীতার কথাও মসজিদ পোড়ানো হিন্দু ভুলে যায়।