আপনি একটা কাজ করলে সেটা ভালো বা মন্দের মাপকাঠিতে মাপা হবে। না করলে কোনো মাপকাঠিতেই পড়বে না।
একই ভাবে আপনি ব্যবহার করলে, কেউ ভালো ব্যবহার বা খারাপ ব্যবহার হিসেবে নেবে। না করলে তো আর ভালো খারাপ বলার সুযোগ নেই, তাইনা?
একই ভাবে আপনি যখন কাউকে তার ভুল ধরিয়ে দেবেন, সে নানা অযুহাত দেখিয়ে
নিজের ভুল এড়াতে দুর্ব্যবহার করলে যদি আপনি চুপ হয়ে কলহ এড়ান, তাহলে আপনার
রাগের সময়ও তার উচিৎ চুপ থাকা। আমাদের সমাজে চুপ করে থাকাটা দুর্বলতা। চুপ
করে থাকাটা যেন নিজের ভুল মেনে নেয়া। চুপ করে থাকাটা যেন নত হওয়া।
তবু চুপ থাকুন। কারণ নবীজি (সা.) বলেন, ‘রাগ আসে শয়তানের পক্ষ থেকে।
নবী করিম (সা.) আরো বললেন, ‘সে প্রকৃত বীর নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে
দেয়; বরং সে-ই প্রকৃত বীর যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।’
(বুখারি: ৫৬৮৪)।
নবীজি (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ক্রোধ
চরিতার্থ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা সংবরণ করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের
দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে আনবেন এবং জান্নাতের যেকোনো হুর নিজের
ইচ্ছামতো বেছে নেওয়ার অধিকার দান করবেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬)।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।